সম্প্রতি সমালোচিত নববধু ফারহানা আফরোজ বিয়ের হলুদ অনুষ্ঠানে হিরোর মত ছেলেদের নিয়ে ফ্রন্ট লাইনে বাইক চালিয়ে এন্ট্রি দেয়। পরবর্তীতে জানা যায় তিনি নববধু নন, তাঁর বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে এবং তাঁর সন্তানও রয়েছে। তিনি তার বান্ধবীর বিয়ের হলুদ অনুষ্ঠানে এই বাইক চালিয়ে ছেলেদের মতন এন্ট্রি দিয়েছিলেন। যা বাঙ্গালী সংস্কৃতির পরিপন্থী। বাঙ্গালীর হাজার বছরের সংস্কৃতিকে পদতলিত করে পশ্চিমা সংস্কৃতি লালনে ব্যস্ত বাঙ্গালীর একটি অংশ।
বঙ্গদেশে ৯০ ভাগ মুসলিম থাকা সত্বেও এই বছরের জানুয়ারিতে কুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা র্যাগ ডে করতে সবাই যখন সুন্নতি এবং আলেম সমাজের মত শালীন ও মার্জিত পোশাক পরিধান করেছিলো তখন আপনাদের সকল দন্ড দাড়িয়েছিল?কেন এটি কি ইসলামের একটি অংশ না? এটি শালীন, মার্জিত পোশাক না?
কেন! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তো কোন নির্দিষ্ট ড্রেসকোড নেই, সবাই যার যার পছন্দমতো ড্রেস পড়তে পারে, তারপরও আপনাদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হলো কুয়েট শিক্ষার্থীদের। সুশীল, সেকুলার ও কথিত নারীবাদীদের চুলকানি কি ইসলামে না নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত অশালীন সংস্কৃতিতে? সেদিন একাত্তর টিভির সেক্যুলারদের দল কুয়েটের শিক্ষার্থীদের জঙ্গি ট্যাগ দিয়েছিল। প্রশ্ন তুলেছিল সংস্কৃতি নিয়ে। তাদের পোশাক নাকি আরবীয়দের পোশাকের মত ছিল। জঙ্গীদের পোশাকের মত ছিল। আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী পোশাক ছিল। হায় আফসোস! সেদিন কুয়েটের শিক্ষার্থীদের পোশাকে নাকি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ পর্যন্ত বিব্রতবোধ করছিল। (বিবিসি বাংলা নিউজ, tinyurl.com/y58zggls) (ইনকিলাব নিউজ, tinyurl.com/yxln4x3t)
কুয়েটের শিক্ষার্থীদের পোশাক আরবীয়দের মত হওয়ায় যদি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বিব্রতবোধ করে তবে ফারহানার পশ্চিমা পোশাকে বাইক চালানোর ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ কেন বিব্রতবোধ করবে না? কেন সেক্যুলারদের দল বাইকার ফারহানার পোশাককে বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী দাবি করবে না? কেন? আপনাদের দন্ড কোথায় হারালো! ভূতের মুখে রাম রাম। ইসলাম দেখলেই আপনাদের চুলকানি বেড়ে যায়!

Be the inspiration!
